আজ শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাত খুনের আসামীদের ফাঁসির দাবিতে স্বজনদের মানববন্ধন

সাত খুনের আসামীদের ফাঁসি

সাত খুনের আসামীদের ফাঁসি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশ বিদেশে আলোচিত সাত খুনের ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজনরা। মানববন্ধন শেষে সাত খুনের ৪ বছর পূর্তিতে নিহতদের স্মরণে একটি শোক র‌্যালী করা হয়।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনে সামনে থেকে র‌্যালিটি শুরু করে নারায়ণগঞ্জ আদমজী সড়ক প্রদিক্ষন করে আদমজী ইপিজেড এর সামনে দিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে ইপিজেড এর সামনে তারা মানববন্ধন করেন।

অন্যদিকে, বিকাল সাড়ে ৪ টায় ও ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে একই দাবিতে গন সংহতি আন্দোলন ও সাত খুনের স্বজনরা আরো একটি মানববন্ধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিহত নাসিক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলমের ভাই শফিকুল ইসলাম, নিহত মনিরুল জামান স্বপনের ভাই মিজানুল রহমান রিপন, নিহত জাহাঙ্গীরের মা মেহানুর নেছা, স্ত্রী নুপুর আাক্তার, শিশু কন্যা রোজা, নিহক তাইজুল ইসলামের বাবা আবুল খায়ের, গনসংহতি আন্দোলনের অঞ্জন দাস, জাহিদুল ইসলাম জাহিদসহ এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের ভাই মিজানুর রহমান রিপন বলেন, আজ চার বছর হলো এ হত্যাকান্ডের কিন্তু এখনো এর রায় কার্যকর হচ্ছেনা। এতে নিহতদের আত্মা কষ্ট পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার কাছে সাত খুনের পরিবার কোন অর্থ চায়নি, চেয়েছিলো বিচার। আপনি এ সরকারের আমলেই ইতিহাসের জঘন্ন বর্বরোচিত নিকৃষ্ট হত্যাকান্ডের আসামীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করবেন।

তিনি আরও বলেন, এখনো আমরা সাত খুনে নিহতের স্বজনরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। ফাঁসির আসামী নুর হোসেনের অসংখ্য ক্যাডার বাহিনীর নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জে বিচরন করছে। তাই প্রধানমন্ত্রী আপনি সাত খুনের বিচারের দিকে একটু নজর দিন এবং আসামীদের রায় দ্রুত কার্যকর করার ব্যবস্থা করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে নাসিক কাউন্সিল ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার বন্ধু মনিরুজামান স্বপন ও এড. চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে র‌্যাব ১১ এর কয়েক জন কর্মকর্তা অপহরণ করে। পরবর্তিতে শীতলক্ষা নদীতে তাদের লাশ ভেসে উঠে। প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ২৯ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা আওয়ামীলীগের নেতা সন্ত্রাসী নুর হোসেনসহ ৬জনকে আসামী করে মামলা করেন এবং ৩০ এপ্রিল বন্দর উপজেলা সোনাচরা এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ৬জনের লাশ ভেসে উঠে। পরে ১ মে আরো ১ জনের লাশ ভেসে উঠে।

এঘটনায় দীর্ঘ তদন্ত শেষ ২০১৬ সালে ১৬ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত র‌্যাব ১১ সাবেক ১৫ কর্মকর্তা ও নুর হোসেন ও তার সহযোগীসহ ১১ সহযোগীদের ফাঁসির আদেশ দেন। পরে উচ্চ আদালত ২০১৭ সালে ২২ আগষ্ট ১৫ জনকে ফাঁিস ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার আদেশ দেন।